জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বুধবার, ২৫ মে, ২০১১

নজরুল

কবি নজরুল কে বোধহয় সবাই ভুলেই গেছে। এদেশে আজ দায়সারা ভাবে জাতীয় কবি নজরুলের জন্মদিন পালন করা হয়। কবিতা নিয়ে সবাই সরগরম নানা ফরামে, গ্রুপে কিন্তু নজরুল নিয়ে অতটা নয়, রবীন্দ্রনাথের কুঠীবাড়ীর রঙ আদিতে নিয়ে যাবার বেলায় আন্দোলন হয় কিন্তু নজরুলের কথা কেউ মনে করেন না। এদেশে বদমাশ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্মদিন বা মৃতুদিন বেশ ঘটা করে পালন করা হয়। আমাদের ত্যাগী বিদ্রোহী কবির কপালে সেই স্বম্মান নেই। আজ বড় দুক্ষ পেলাম এসব দায়সারা অভিনয় দেখে।

সোমবার, ৯ মে, ২০১১

আয় আজ তোকে স্বপ্ন দেখাই


আয় আজ তোকে স্বপ্ন দেখাই ,
ধানের শীষে সোনা রঙের আভায় রাঙ্গা ঝক ঝকে ভোর দেখাই ,
নৌকার পালে ফুলে ওঠা বাতাসের গান শোনাই ,
মেটে রঙের পথ কেমন সবুজের বুক চিরে একে বেকে চলে যায় ,
সুপোরী গাছেরা কেন সারী সারী দাঁড়িয়ে থাকে তা দেখাই ,
পুরোনো বট কেমন মাটি আকড়ে থাকে আর
রূপালী নদীতে কেমন করে আরো রুপালী মাছেরা ঝিলিক মারে
তার সবটুকু দেখাই ।
আমার ঘাড়ে চড়ে যাবি
বৈরাগীর বাজারের হাটে?
বাতাসা খাবি?
মোষের লড়াই দেখবি?
তোর শৈষব কেড়ে নেয়া
ইটকাঠের শহরের নোনা ধরা দেয়াল,
কাধ ঝুলে যাওয়া ঢাউস স্কুলের ব্যাগ
আর কম্পিউটারের নানারঙ্গা জানালাটা।
বাক্সবন্দী জানালাটা তোর পৃথিবী কে
এই এত্তটুকুন করে দিলো।
আমার সাথে চল বাবা
তোকে নিয়ে যাই
আমার ফেলে আসা শৈষবে ।
তালের পাখায় বাতাস খাবি,
জলার ধারে শুভ্র বকেরা কেমন মাছ ধরে খায় দেখবি,
বাঁশির সুরে রাখাল ছেলেরা কেমন বহুদুর পর্যন্ত সুরের খেলা খেলে,
খেজুরের রস খাবি ভোরের রোদে,
কুয়াশা ভেজা মাঠে খালি পায়ে হাটবি,
মজা পুকুরে শাপলা তুলবি আর
দেখবি গরুর গাড়ী ছাপা শাড়িতে ঢেকে কেমন করে
নায়ৈর যায় গায়ের বধুরা?
তোর যান্ত্রিক জানালা আর স্কুলের বইয়ে
এর কথা যে কিছু নেই,
বাবা একটি বার চল আমার সাথে
দেখে আসবি,
মানুষেরা কেমন অল্পতে সুখী ,
কেমন করে হাসে, ভালোবাসে...............।

শনিবার, ৭ মে, ২০১১

মধ্যবয়েসের স্মৃতিচারন

তখন সন্ধ্যে ছিলো .........
একে একে জলে উঠছিলো শহর জোড়া বাতিগুলো ।
নদীর ধারে বসে শেষবারের মতো
আমার আঙ্গুল তোমার আঙ্গুলে
জড়াজড়ি করেছিলো ।
বড় বিষন্ন ছিলো সে সন্ধ্যে .........
সেই বিকেল থেকে আমি আর তুমি
বসেছিলেম পাশাপাশি ,
কোন কথা ছিলোনা ।
নির্বাক চোখে তাকিয়ে ছিলেম
দুজনে দুজনের ক্রন্দসী চোখে ।
পরিচয়ের সেই দশটি বছরে
এই প্রথমবার এবং শেষবারের মত
আমাদের মাঝে কোন কথা হয়নি ,
তারপর আর দেখাও হয়নি।
জানো আমরা দুজনে সেদিন জানতেম
এই শেষ দেখা,
গলার কাছে কষ্টরা এসে দলা পাকিয়ে
কথা বন্ধ করে দিয়েছিলো,
হয়তো তোমারো ঠিক তাই।
তুমি হিন্দুর মেয়ে অরুনিমা,
আমি মুসলমানের ছেলে মাইদুল
বলে তাই সব ভেস্তে গেলো,
ভালোবাসা ধর্মের তোড়ে ভেসে গেলো।
পরদিন সকালে তোমরা সবাই
ভারতবাসি হলে,
আমরা রয়ে গেলাম
পাকিস্তানের বুলি ধরে।
দেশ ভাংলো
সাথে ভেঙ্গে নিলো তোমায় আমায়।
কেমন আছো তুমি জানিনে...
আমি বেচে আছি,
মাথায় তেল দিয়ে
সিথি কেটে রোজ সাইকেল চেপে
ইস্কুলে পড়াতে যাই,
ধর্ম কর্ম করি,
নিজে রান্না করি, খাই দাই ঘুমাই।
এ জীবনে আর কাউকে জড়াইনি অরুনিমা,
যা ছিলো আকর্ষন, যা ছিলো ভালোবাসা,
সেত কবেই তোমার সাথে চলে গেছে।
প্রতিদিন তোমাদের পুরোন বাড়ীটার পাশ দিয়ে গেলে
থমকে দাড়াই,
মনে হয় এক্ষুনি তুমি এসে দাঁড়াবে বুড়ো আমগাছটার নিচে
ছাপা শাড়ী পরে,
যেমন দাড়াতে যখন আমি কলেজ যেতাম,
তারপরেই ভুল ভেঙ্গে যায়,
ওবাড়ীতে আজ কি যেন একটা সরকারী দপ্তর হয়েছে।
সেদিন সন্ধ্যায় এতো বাতাস ছিলো,
নদীর ধারে বাতাসের শব্দে সব কান্না হারিয়ে গিয়েছিলো,
একসময় আকাশে তারারা এসেছিলো,
তুমি হাত ছাড়িয়ে ধিরে ধিরে হেটে হেটে অন্ধকারে মিলিয়ে গিয়েছিলে,
সাথে আমার সব স্বপ্নও মিলিয়ে গিয়েছিলো আকাশে,
জানো অরুনিমা সেদিন রাতে কতক্ষন
নদীর ধারে বসেছিলাম নিজেও জানিনা,
অদ্ভুত হাহাকারে
একা একা অনেক ক্ষন কেদেছিলেম,
বাড়ী গিয়ে তুমিও হয়তো তাই।
আজ এই মধ্যবয়সে
তোমায় নিয়ে ভেবেই দিন কাটে আমার,
তুমি ভালো আছত অরুনিমা?
চোখে কি চশমা নিয়েছো?
তোমার ছেলে মেয়েরা কি বড় হয়েছে?
নাতি পুতিতে তোমার ঘর কি ভরে আছে?
যেখানেই থাকো ভালো থেক অরুনিমা......।

অনি
১৯/৪/২০১১

একই জীবনের কথকথা

By Wasiquzzaman Oni · Sunday, April 24, 2011
আমাদের পাথর সময়
বন্ধুর পথে ছুটে চলা ,
বাসে বা ট্রেনে বিষন্ন মুখ ,
কায় ক্লেশে জীবনটা টেনে যাওয়া।
বুকে হেটে,
খেটে খুঁটে ,
ফিরে যাওয়া প্রতিদিন
একই ঠিকানায় ।
সুখের ঘর বাধা
অলীক কল্পনায় ।
কত চাওয়া এই জীবনের ?
আশার সীমানা কোথায় ?
প্রতিদিন একই রকম ,
জীবন জীবনে হারায় ।
দিন শুরু আলুভাজী রুটি ,
বাসে ট্রেনে বাদুর ঝোলা ,
সারাদিন কলমপেষা ,
বেঁচে থাকার ছলা কলা ।
যখন সন্ধ্যে ঘনায় ...

কষ্টগুলো আমারই থাক

By Wasiquzzaman Oni · Tuesday, May 3, 2011
যেদিন তুমি ফিরিয়ে দিলে
ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছেতে,
হন্যে হয়ে সারাটি দিন
ঘুরছি কেবল মনের ভুলে,
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট বোধে
যাচ্ছি হয়ে বাউন্ডুলে।।
সুখগুলো সব রাখলে তুমি
যত্ন করে আগল দিয়ে,
আমার রইল দূঃখের নদী
নিরবধি যাচ্ছে বয়ে।।
ভালোবাসার লিখছি চিঠি
যত্ন করে রঙ্গীন খামে,
বুঝতে পেরে মধ্যরাতে
ইলশেগুড়ী বৃষ্টি নামে।।
পারবে চিঠি ফিরিয়ে দিতে
ভালোবাসার পুরোন দিন?
ভাবনাগুলো খাচ্ছে কুরে...

মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১১

কষ্টগুলো আমারই থাক


যেদিন তুমি ফিরিয়ে দিলে
ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছেতে,
হন্যে হয়ে সারাটি দিন
ঘুরছি কেবল মনের ভুলে,
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট বোধে
যাচ্ছি হয়ে বাউন্ডুলে।।
সুখগুলো সব রাখলে তুমি
যত্ন করে আগল দিয়ে,
আমার রইল দূঃখের নদী
নিরবধি যাচ্ছে বয়ে।।
ভালোবাসার লিখছি চিঠি
যত্ন করে রঙ্গীন খামে,
বুঝতে পেরে মধ্যরাতে
ইলশেগুড়ী বৃষ্টি নামে।।
পারবে চিঠি ফিরিয়ে দিতে
ভালোবাসার পুরোন দিন?
ভাবনাগুলো খাচ্ছে কুরে
বারছে দহন অন্তবিহীন।।
আগোছালো জীবন আমার
কাটছে শত গন্ডগোলে ,
হয়তো তুমি সুখেই আছো
ঘরকন্নার হট্টগোলে।
তোমার ঘরে সুখের নহর
পড়ুক ঝরে প্রতিটিদিন,
দুঃক্ষের নদী আমারই থাক
চলুক বয়ে অন্তবিহীন।।

অনি
৩/৫/২০১১