জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১২

এক দিন জানবো নিশ্চয় রহস্য কি




আজকাল সব কিছু সহজে বিশ্বাস করতে মন চায়না। পরিপার্ষিক অবস্থাই হয়ত দায়ী। এক বছর আগে যেই তানভীর যে পদক নিয়েছে সরকারের কাছ থেকে, সেই আজকে প্রমানিত জোচ্চোর। এ শুধু আমাদের দেশের বিষয় নয়, সব দেশেই কালে কালে ক্ষমতাবানদের নানা ঘৃন্য বিষয় সামনে চলে আসে। জগতে আসলে খুব বেশীদিন অপরাধ লুকিয়ে রাখা যায়না। হয়ত এমনি ভাবে একদিন খুলে যাবে সাগর-রুনীর হত্যার রহস্য। সে দিনের প্রতিক্ষায় আছি। এমনি সময় নাফিস নামে এক তরুনের
 কান্ডকির্তি নিয়ে আমেরিকা তথা বাংলাদেশ সরগরম হয়ে আছে। সে যদি আল কায়েদা বা জামাতের বা কোন ইসলামী জঙ্গী গ্রুপের সদস্য হয়ে থাকে তবে তাকে ধিক্কার জানাই, এমন বেপথু মানুষের জন্য আমাদের বাংলাদেশবাসীরা পদে পদে বিপদে পড়েন। প্রবাস জীবন বা ভ্রমন দুটোই হয়ে পড়ে বিপদজনক। কিন্তু আসলেই কি ঘটেছিল? আমি জানিনা, তবে পত্র পত্রিকা মারফত জানলাম আমেরিকান গোয়েন্দাদের পাতা ফাদে ধরা পরেছে সদ্য তরুন নাফিস। ফাঁদ এমনি যে ছদ্দবেশের গোয়েন্দা আর তাদের দোসরদের সাথে পরিকল্পনা থেকে এমনকি বিস্ফোরক কেনা পর্যন্ত। আবার নকল বিষ্ফোরক সরবরাহ করে তা বিষ্ফোরন ঘটানর সময় সঙ্গদান ও পরবর্তিতে গ্রেফতার! কেন? কেন আগেই গ্রেফতার করা হলোনা? পরিকল্পনা করে বাংলাদেশী একজন নাগরিক কে জালে ফাসিয়ে বা অর্থলোভে এ কাজে ব্যবহার করা হয়নি তো? যাতে গোয়েন্দাদের ভাড়ারে বিশাল এক হত্যজজ্ঞ প্রতিরোধের বাহবা জোটে, কিংবা ভবিষ্যতে তৃতীয় বিশ্বের পুঁচকে বাঙ্গালিদের অভিবাসন আইন আরো কঠোর করা যায়? মাত্র একটা বাচ্চা ছেলে এত বড় পরিকল্পনা করল যার দোসর সেই গোয়েন্দারা ছাড়া অন্য কেউ নয়। পত্রিকায় পড়লাম তার সাথে জঙ্গী গোষ্ঠীর যোগাযোগ প্রমান করা যায়নি এখনো। সে যদি দোষী হয় নিশ্চিত তার বিচার চাই, এত মানুষের প্রান আর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য। কিন্তু যদি দোষী না হয় তবে সেই পরাক্রমশালী দেশে তার জন্য আপাতত সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করার নেই। হয়ত কালে একদিন সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমরা সাধারন জনগণ ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে কেবল সেদিনের অপেক্ষা করি।

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২

কালের যোয়াল


কালের যোয়াল


মেঘ রোদ্দুরের আঁকিবুঁকি খেলা চলে ,
সবুজ কখনো গাড় সবুজ
আবার কখন হলদে সোনালী ,
তার মাঝে কাদাপানি খেলা ।
হালের গরুতে কালের যোয়াল ,
মাঝে মাঝে উড়ে বেড়ায়
উড়ুক্কু পতঙ্গ আর পতঙ্গভুক পাখী ,
ধানের ডগা আঁকড়ে ধরে শুঁয়োপোকা ,
মেঘের আড়ে ঢাকা পড়ে বেলা। 
প্রকৃতি মুধু ঢালে সযতনে
তার মাঝে পুতুল খেলে মানব মানবী,
রোষের আগুনে পুড়ে ডুরে ছাপা শাড়ী,
ঘর পুড়ে ছাই, মন মরে অযথাই,
আবার মানব সংসারে জন্মে
রাম কিংবা রাবণ, দলে দলে।
বিমুঢ় ভাবনায় অনেকের মাঝে
কেউ একা হয়ে যায়,
কারো হাসিতে হৃদয় নাচে,
বেঁচে থাকা সুখের নতুবা দুঃখের
বিবেচনা শুধুই বিবেচকের।
কালের যোয়ালে সব বাঁধা পড়ে,
হালের গরু, কিলবিল শুয়োপোকা,
কিংবা মানুষের দঙ্গল। 

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

মদো মাতাল আমরা এবং সুনামী

ভূমিকম্প হয়েছে, সর্বত্র সুনামি সতর্ক বার্তা,

চারদিকে ব্যাস্ততা, আগোছালো ত্রস্ততা,

ডানা ঝাপটায় গছের চুড়োয় বসা শ্যনদৃষ্টি শকুন,

আহা এসেছে মহেন্দ্রক্ষন, নানা স্বাদের লাশ মিলবে,

শেয়ালের দলও বসে নেই, লোল ঝরা জিভে ধার দেয়,


সামনে আছে মস্ত ফিষ্টি।

বিধাতাও বুঝি মুচকি হাসেন,


মাঝে মাঝে পক্ষ নেন,


সুনামি দিয়ে ভুলিয়ে দেন,


আমাদের সাগরেরা, রুনীরা বিনা বিচারে মরে যায়,


গাড়ী ভর্তি টাকা নিয়ে বেরসিক ড্রাইভার ঝামেলা করে,


দেশকর্তারা বেশ লুটে পুটে খান,


পিশাচেরা পুড়িয়ে মারে ছোট ছোট শিশু

,
বার বছরের বালিকাও মরে যায় পিশাচী লালসায়,


গণতন্ত্রের গালভরা বুলী মাথা ঠুকরায়,


ভোটের দামে কেনা নানা যন্ত্রনায়।

তার সব ভুলে যায় রঙ্গে রঙ্গীন টাকায় গড়া উজবুক বাক্সেরা,


মাইক্রোফোন হাতে খবরের খোজ অযথাই।


এর সব কিছু ভুলে গিয়ে সবাই ব্যস্ত সুনামী আসবে,


আহা কিছু লোক মারা যাবে, ভেসে যাবে ফসলী জমি।


কেউ কেউ আবার মস্ত খুশী, 


রিলিফ ফান্ডে জমবে বিদেশী সাহায্য,


ভুরিভোজের তোফা আয়োজন।

মানব সৃষ্ট জঙ্গলে আমরা হিংস্র পশুদের ভিড়ে,


লোভি লোভী চক্করে ঘুরপাক খাই,


আমরা সর্বংসহা, সব সইতে পারি,


দুমুঠো ভাতের পেটে লাথি পড়বে বলে


আবিরাম তালে দিয়ে যাই তাল,


হয়ে যাই মদো মাতাল।