জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

 


সেখানে পথের ধারে ঘাসের পারে

অকারন মন খারাপে পাখনা মেলে
ভাবতে গিয়ে ভাবনাগুলো কেমন করে
ডুবসাঁতারে যায় হারিয়ে অতল জলে ।

সেখানে মেঘভরা ঐ আকাশ জুড়ে
উড়ে যায় একলা পাখি আপন মনে
চলে যায় কোন সুদুরে কেমন করে
ঘরেতে ফিরিতে গিয়ে মনের ভুলে ।

উচাটন


 সকালের গায়ে মৃদু রোদ্দুর,

মেঠো পথ ধরে হাটা বহুদূর।

ঝক ঝকে চোখ, ঝর্নার জল,

পাতা মরমর প্রীয় বনতল।

তুলো তুলো মেঘ, আকাশের মন

নীল নীলিমায় শুধু উচাটন,

পাখির ডানা, যাযাবরি ছল,

মায়া মায়া চোখ ছাওয়া মনতল।


০৫-০২-২০২২



 

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভাবনায় ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫


বিশ্বের ক্রিকেট খেলে যাওয়া দেশগুলোর মাঝে এক দিবসীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতি চারবছর পর পর নিয়ে আসে প্রবল উত্তেজনার অনির্বান রসদ যা সমাপ্ত হয় ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে। অন্যান্য ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের চেয়ে এই উপমহাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ছাপিয়ে যায় সব কিছুতেই। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আধুনা কালের আফগানিস্তান থেকে কোন অংশে কম ক্রিকেট জরে আক্রান্ত নয় আমাদের বাংলাদেশের মানুষ। ১৯৭৫ সালের সাদা পোশাকে ৬০ ওভারের লাল বলে খেলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ছয়টি টেস্ট খেলিয়ে দেশের সাথে শ্রিলঙ্কা এবং পূর্ব আফ্রিকা। সেখান থেকে আজকের আধুনিক এক দিবসীয় ক্রিকেট কুলীন সে পোশাক ছেড়ে পড়েছে রঙ্গীন পোশাক, দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪টি আর সাদা বলের সাথে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি খেলার খুঁটিনাটি নিয়ে এসেছে মানুষের ঘরে টেলিভিশনের পর্দায়, কোন কিছুই আর নজর এড়াচ্ছে না।  উত্তেজনার রসদ চারদিকে পসরা সাজিয়ে বসেছে আগামী দেড়মাস ক্রিকেট আমোদীদের ব্যস্তিব্যস্ত রাখতে। সবার মনে প্রশ্ন কে জিতবে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল দোর্দন্ড প্রতাপশালী ওয়েস্টইন্ডিজ যা তারে ধরে রেখেছিল ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপেও। কিন্তু ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে কপিল দেব এর ভারত সবাইকে চমকে দিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃতীয় বিশ্বকাপ। ১৯৮৭ সালের চতুর্থ বিশ্বকাপ এ উপমহাদেশের মাটিতে চমকে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ান হয়ে যার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল মূলত অস্ট্রেলিয়ার স্বর্নযুগ। ১৯৯২ সালে সব হিসেবের বাইরে থেকে এসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরুতে ধুকতে থাকা ইমরান খানের পাকিস্তান জিতে নিয়েছিল বিশ্বকাপ। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ বিশ্বকাপে আবির্ভাব হয়েছিল এক বদলে যাওয়া শ্রীলঙ্কা, অর্জুনা রানাতুঙ্গার নেতৃত্বে হয়েছিল বিশ্বজয়ী। ১৯৯৯ সালের সপ্তম, ২০০৩ সালের অষ্টম এবং ২০০৭ সালের নবম শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া বজায় রেখেছিল বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য। ভারতীয় উপমহাদেশের মাটিতে দশম বিশ্বকাপে শিরোপা ফিরে এসেছিল ভারতের কাছে। এ পর্যন্ত দশটি বিশ্বকাপে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মাঝে বিশ্বকাপ এখনো অধরা রয়ে গেছে ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের কাছে। বাস্তবিক অবস্থায় বাংলাদেশ বা জিম্বাবুয় ক্রিকেটীয় মানে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও অন্য চারটি দেশ কাছাকাছি গিয়ে আক্ষেপে পুড়েছে অনেকবার।
এবার যদি আসি এই ২০১৫ সালের একাদশ বিশ্বকাপের কথায় তবে সবার মনেই উৎকণ্ঠা, প্রশ্ন কে জিতবে শিরোপা? আর বাংলাদেশে কতটুকু যেতে পারবে? গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে পূর্ব অনুমান করাটা খুব কষ্টসাধ্য তবে তথ্য, উপাত্ত, ভেন্যু আর সমসাময়িক পারফর্মেন্সের উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই বলা যায় যার কিছুটা হয়তো মিলে যাবে বিশ্বকাপের শেষদিনে।
কে যাবে ফাইনালেঃ
বর্তমান ওডিআই র‍্যাঙ্কিং এ শির্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ান ভারতের মাঝেই বিশ্বকাপ এর ফাইনাল হবার সম্ভাবনার পাল্লাই সবচেয়ে ভারী। দুটি দলই সেরা খেলোয়াড়দের ইনজুরি নিয়ে একটু সমস্যায় থাকলেও একাধিক বারের বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা তাঁদের পাল্লা ভারি করেছে নিশ্চিয়। নিজের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপে চার চার বারের চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়া কাউকে এক ইঞ্চি স্থান ছাড়বেনা একথা নিশ্চিতই বলা যায়, তাঁর সাথে সাম্প্রতিক কালের ফর্ম বিবেচনা করলে তারা এ দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অন্যসবার চেয়ে। অপরদিকে অফফর্মের বোলিং নিয়ে ভারত একটু পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচ উইনিং ব্যাটসম্যানদের পাল্লাটা তাঁদের দিকেই সবচেয়ে ভারী। বিশাল লাইন আপের ভারতীয় ব্যাটিং লাইন তাঁর দিনে দুমড়ে মুচোড়ে দিতে পারে বিশ্বের যে কোন বোলিং কে। সাম্প্রতিককালে একটু বাজে সম্নয় গেলেও ভারত নিশ্চয়ই চোখ রেখেছে তাঁদের শিরোপা ধরের রাখবার জন্য। এর বাইরে ফাইনালে যাবার সম্ভাবনায় অন্য দলগুলোর থেকে খানিকটা এগিয়ে আছে সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সাউথ আফ্রিকা সাম্প্রতিককালে খেলছে দুর্দান্ত ক্রিকেট, দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপ আর কার্যকরি বোলিং শক্তি তাঁদের বিশ্বকাপ শিরোপার দাবীদার নিশ্চিতভাবেই করেছে শুধু অতীতের চোকার বদনামটা ঘোচাতে হবে। অন্যদিকে অভিজ্ঞ শীলঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ বিজয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম যে কোন দলের বিপক্ষেই, আবার ইংল্যান্ড তাঁদের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমন নিয়ে দাবী করতেই পারে ফাইনাল এ যাবার। আরেকটি দল নিউজিল্যান্ড যারা বিশ্বকাপ আসলে বরাবর খেলে এসেছে দুর্দান্ত, তাঁর মাঝে এবার নিজের মাটিতে তাই তাঁদের ব্যাটিং শক্তি আর চেনা পরিবেশ নিয়ে আসতে পারে অধরা সাফল্য।
বাকি দলগুলোর মধ্যে অনেকবার অসম্ভব কে সম্ভব করা পাকিস্তান ছন্দে ফিরলে সেমিফাইনাল পর্যন্ত চলেও আসতে পারে আর সে যদি আসেই তবে হয়তো দূর্দান্ত ভাবে চলে যাবে ফাইনালে, বর্তমান ক্রিকেটে এই একটি দল নিয়ে কিছু বলা বেশ কঠনই বটে। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতা এককালের প্রবল পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফিরিছে এর সাথে যোগ হয়েছে খেলোয়াড় আর বোর্ডের মাঝে দন্দ্ব। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁদের নিয়ে বাজি ধরতে খুব কম লোকই যাবেন। অন্য দুটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মাঝে অনেক পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ গিয়েছে এ বিশ্বকাপে তাঁদের আগের পারফর্মেন্সের উন্নতি ঘটাতে তাই আফগানিস্তান আর স্কটল্যান্ডের সাথে দু একটি বড় দেশকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়াটাই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি এবং দ্রুত উইকেটে ব্যাটসম্যানদের নিংড়ে দিতে হবে নিজেদের কাঙ্খিত সাফল্য পেতে। অন্যদল জিম্বাবুয়ে তাঁর অতিতের ছায়া হয়ে আছে, নানা সমস্যায় জর্জরিত এ দল একইভাবে লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে আয়ারল্যান্ড আর দুর্বল আরব আমিরাত এর সাথে দু একটা অঘটন ঘটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাবার। বাকি দলগুলোর মধ্যে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড আর আফগানিস্তান প্রায় নিয়মিত অঘটন ঘটিয়েছে আগে তাই একথা আশাই করা যায় বড় দুএকটি দলকে হারিয়ে চমকে দেবার সাথে সাথে বিশ্বকাপকে জমিয়ে তুলতে তারা ভালোই ভুমিকা রাখবে। এদের সবার চাইতে আরব আমিরাত অনেক পিছিয়ে আছে নিশ্চিত।
ইতিমধ্য সবকটি দোলে অস্ট্রেলিয়ায় পৌছে নিবিড় অনুশীলন আর প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমে ঝালিয়ে নিচ্ছে নিজেদের। আর মাত্র দুদিন পর ক্রাইস্টচার্চের হেইগলে ওভালে শ্রীলঙ্কা আর নিউজিল্যান্ডের মাঝে লড়াই দিয়ে পর্দা উঠছে একাদশ বিশ্বকাপ এর লড়াই এর যা শেষ হবে ২৯ মার্চ এর রাতে, হয়তো বিশ্বকাপ দেখপবে নতুন কোন চ্যাম্পিয়ন, আমরা সেই অপেক্ষায় রইলাম। তারসাথে শুভকামনা থাকলো আমাদের বাংলাদেশের জন্য।
-          আলী ওয়াসিকুজ্জামান অনি
ক্রিকেট কোচ ও সাবেক ক্রিকেটার
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫


শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১২

এক দিন জানবো নিশ্চয় রহস্য কি




আজকাল সব কিছু সহজে বিশ্বাস করতে মন চায়না। পরিপার্ষিক অবস্থাই হয়ত দায়ী। এক বছর আগে যেই তানভীর যে পদক নিয়েছে সরকারের কাছ থেকে, সেই আজকে প্রমানিত জোচ্চোর। এ শুধু আমাদের দেশের বিষয় নয়, সব দেশেই কালে কালে ক্ষমতাবানদের নানা ঘৃন্য বিষয় সামনে চলে আসে। জগতে আসলে খুব বেশীদিন অপরাধ লুকিয়ে রাখা যায়না। হয়ত এমনি ভাবে একদিন খুলে যাবে সাগর-রুনীর হত্যার রহস্য। সে দিনের প্রতিক্ষায় আছি। এমনি সময় নাফিস নামে এক তরুনের
 কান্ডকির্তি নিয়ে আমেরিকা তথা বাংলাদেশ সরগরম হয়ে আছে। সে যদি আল কায়েদা বা জামাতের বা কোন ইসলামী জঙ্গী গ্রুপের সদস্য হয়ে থাকে তবে তাকে ধিক্কার জানাই, এমন বেপথু মানুষের জন্য আমাদের বাংলাদেশবাসীরা পদে পদে বিপদে পড়েন। প্রবাস জীবন বা ভ্রমন দুটোই হয়ে পড়ে বিপদজনক। কিন্তু আসলেই কি ঘটেছিল? আমি জানিনা, তবে পত্র পত্রিকা মারফত জানলাম আমেরিকান গোয়েন্দাদের পাতা ফাদে ধরা পরেছে সদ্য তরুন নাফিস। ফাঁদ এমনি যে ছদ্দবেশের গোয়েন্দা আর তাদের দোসরদের সাথে পরিকল্পনা থেকে এমনকি বিস্ফোরক কেনা পর্যন্ত। আবার নকল বিষ্ফোরক সরবরাহ করে তা বিষ্ফোরন ঘটানর সময় সঙ্গদান ও পরবর্তিতে গ্রেফতার! কেন? কেন আগেই গ্রেফতার করা হলোনা? পরিকল্পনা করে বাংলাদেশী একজন নাগরিক কে জালে ফাসিয়ে বা অর্থলোভে এ কাজে ব্যবহার করা হয়নি তো? যাতে গোয়েন্দাদের ভাড়ারে বিশাল এক হত্যজজ্ঞ প্রতিরোধের বাহবা জোটে, কিংবা ভবিষ্যতে তৃতীয় বিশ্বের পুঁচকে বাঙ্গালিদের অভিবাসন আইন আরো কঠোর করা যায়? মাত্র একটা বাচ্চা ছেলে এত বড় পরিকল্পনা করল যার দোসর সেই গোয়েন্দারা ছাড়া অন্য কেউ নয়। পত্রিকায় পড়লাম তার সাথে জঙ্গী গোষ্ঠীর যোগাযোগ প্রমান করা যায়নি এখনো। সে যদি দোষী হয় নিশ্চিত তার বিচার চাই, এত মানুষের প্রান আর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য। কিন্তু যদি দোষী না হয় তবে সেই পরাক্রমশালী দেশে তার জন্য আপাতত সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করার নেই। হয়ত কালে একদিন সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমরা সাধারন জনগণ ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে কেবল সেদিনের অপেক্ষা করি।

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২

কালের যোয়াল


কালের যোয়াল


মেঘ রোদ্দুরের আঁকিবুঁকি খেলা চলে ,
সবুজ কখনো গাড় সবুজ
আবার কখন হলদে সোনালী ,
তার মাঝে কাদাপানি খেলা ।
হালের গরুতে কালের যোয়াল ,
মাঝে মাঝে উড়ে বেড়ায়
উড়ুক্কু পতঙ্গ আর পতঙ্গভুক পাখী ,
ধানের ডগা আঁকড়ে ধরে শুঁয়োপোকা ,
মেঘের আড়ে ঢাকা পড়ে বেলা। 
প্রকৃতি মুধু ঢালে সযতনে
তার মাঝে পুতুল খেলে মানব মানবী,
রোষের আগুনে পুড়ে ডুরে ছাপা শাড়ী,
ঘর পুড়ে ছাই, মন মরে অযথাই,
আবার মানব সংসারে জন্মে
রাম কিংবা রাবণ, দলে দলে।
বিমুঢ় ভাবনায় অনেকের মাঝে
কেউ একা হয়ে যায়,
কারো হাসিতে হৃদয় নাচে,
বেঁচে থাকা সুখের নতুবা দুঃখের
বিবেচনা শুধুই বিবেচকের।
কালের যোয়ালে সব বাঁধা পড়ে,
হালের গরু, কিলবিল শুয়োপোকা,
কিংবা মানুষের দঙ্গল। 

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

মদো মাতাল আমরা এবং সুনামী

ভূমিকম্প হয়েছে, সর্বত্র সুনামি সতর্ক বার্তা,

চারদিকে ব্যাস্ততা, আগোছালো ত্রস্ততা,

ডানা ঝাপটায় গছের চুড়োয় বসা শ্যনদৃষ্টি শকুন,

আহা এসেছে মহেন্দ্রক্ষন, নানা স্বাদের লাশ মিলবে,

শেয়ালের দলও বসে নেই, লোল ঝরা জিভে ধার দেয়,


সামনে আছে মস্ত ফিষ্টি।

বিধাতাও বুঝি মুচকি হাসেন,


মাঝে মাঝে পক্ষ নেন,


সুনামি দিয়ে ভুলিয়ে দেন,


আমাদের সাগরেরা, রুনীরা বিনা বিচারে মরে যায়,


গাড়ী ভর্তি টাকা নিয়ে বেরসিক ড্রাইভার ঝামেলা করে,


দেশকর্তারা বেশ লুটে পুটে খান,


পিশাচেরা পুড়িয়ে মারে ছোট ছোট শিশু

,
বার বছরের বালিকাও মরে যায় পিশাচী লালসায়,


গণতন্ত্রের গালভরা বুলী মাথা ঠুকরায়,


ভোটের দামে কেনা নানা যন্ত্রনায়।

তার সব ভুলে যায় রঙ্গে রঙ্গীন টাকায় গড়া উজবুক বাক্সেরা,


মাইক্রোফোন হাতে খবরের খোজ অযথাই।


এর সব কিছু ভুলে গিয়ে সবাই ব্যস্ত সুনামী আসবে,


আহা কিছু লোক মারা যাবে, ভেসে যাবে ফসলী জমি।


কেউ কেউ আবার মস্ত খুশী, 


রিলিফ ফান্ডে জমবে বিদেশী সাহায্য,


ভুরিভোজের তোফা আয়োজন।

মানব সৃষ্ট জঙ্গলে আমরা হিংস্র পশুদের ভিড়ে,


লোভি লোভী চক্করে ঘুরপাক খাই,


আমরা সর্বংসহা, সব সইতে পারি,


দুমুঠো ভাতের পেটে লাথি পড়বে বলে


আবিরাম তালে দিয়ে যাই তাল,


হয়ে যাই মদো মাতাল।