জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১১

জীবন


শত সহস্র হূলিয়াতে তার করবে বংশনাশ,

স্কন্ধে জড়ানো মৃত্যুর জপমালা,


 হাসি হুঙ্কারে বিবশ বিবরে্‌

আপন মনেতে খেলে যাই এই খেলা।

জীবনের মানে শুধু বেচে থাকা নয়

নয় শুধু হাসি খেলা,

জীবনের মানে বোঝাতে বুঝিতে

কেটে যায় শুধু বেলা।

জীবনের মানে তোমার আঘাতে

আমার রক্তপাত,

আমার ঘরেতে আধার লুকায়ে

তোমারে দেই প্রভাত। (ক্রমশঃ)

মানুষের পরাজয়


মানতে চাইনা
মেনে নিতে হয়
প্রতিদিন পরাজয়।
কখোন সিমি কখোন রুমানা
নানা রুপে দেখি
মানুষের পরাজয়।
দানবেরা আজ
ঘরে প্রানতরে
শুষে নেয় প্রান
অবলিলা ভরে ।
সমাজের বুলি এই ফাকতালে
অযথাই করে চেচামেচি,
মানুষের গড়া এই সমাজে
মানুষ হলো যে অশুচী ।
তোমরা গড়লে মানব মানবী
তোমাদের হোক জয় ,
চারিদিক খুজি 
দেখে শত পরাজয় ,
সবাই মানুষ দেখলেও
বলি এ কিছুতে মানুষ নয়।
মানব মানবীতে
জগতটা ভরা...

আজ অন্তঃপূরে হরতাল

কেউ কাছে , কেউ কাছে থেকে দূরে,
মনের আগলে দুর্বৃত্তের হাতছানি,
ভিষন হরতাল আজ অন্তঃপুরে।
মনলোকে সানাই বিষাদের
বেজে চলে অবিরাম ,
নান দুঃখ আর অবসাদে।
দঃখের কবিতা শোকের জলে
প্রতিদিন আমাদের মনলোকে
নদী গড়ে চলে ,
ভালোবাসার মুল্যে কেনা
অনেক ঘৃনার ফুলরাশী
নিজের কাছেই অচেনা।
আজ অন্তঃপুরে হরতাল 
অচেনা চেনা মুখের বোলচালে
মনের গহীনে আকাল।

বুধবার, ২৫ মে, ২০১১

নজরুল

কবি নজরুল কে বোধহয় সবাই ভুলেই গেছে। এদেশে আজ দায়সারা ভাবে জাতীয় কবি নজরুলের জন্মদিন পালন করা হয়। কবিতা নিয়ে সবাই সরগরম নানা ফরামে, গ্রুপে কিন্তু নজরুল নিয়ে অতটা নয়, রবীন্দ্রনাথের কুঠীবাড়ীর রঙ আদিতে নিয়ে যাবার বেলায় আন্দোলন হয় কিন্তু নজরুলের কথা কেউ মনে করেন না। এদেশে বদমাশ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্মদিন বা মৃতুদিন বেশ ঘটা করে পালন করা হয়। আমাদের ত্যাগী বিদ্রোহী কবির কপালে সেই স্বম্মান নেই। আজ বড় দুক্ষ পেলাম এসব দায়সারা অভিনয় দেখে।

সোমবার, ৯ মে, ২০১১

আয় আজ তোকে স্বপ্ন দেখাই


আয় আজ তোকে স্বপ্ন দেখাই ,
ধানের শীষে সোনা রঙের আভায় রাঙ্গা ঝক ঝকে ভোর দেখাই ,
নৌকার পালে ফুলে ওঠা বাতাসের গান শোনাই ,
মেটে রঙের পথ কেমন সবুজের বুক চিরে একে বেকে চলে যায় ,
সুপোরী গাছেরা কেন সারী সারী দাঁড়িয়ে থাকে তা দেখাই ,
পুরোনো বট কেমন মাটি আকড়ে থাকে আর
রূপালী নদীতে কেমন করে আরো রুপালী মাছেরা ঝিলিক মারে
তার সবটুকু দেখাই ।
আমার ঘাড়ে চড়ে যাবি
বৈরাগীর বাজারের হাটে?
বাতাসা খাবি?
মোষের লড়াই দেখবি?
তোর শৈষব কেড়ে নেয়া
ইটকাঠের শহরের নোনা ধরা দেয়াল,
কাধ ঝুলে যাওয়া ঢাউস স্কুলের ব্যাগ
আর কম্পিউটারের নানারঙ্গা জানালাটা।
বাক্সবন্দী জানালাটা তোর পৃথিবী কে
এই এত্তটুকুন করে দিলো।
আমার সাথে চল বাবা
তোকে নিয়ে যাই
আমার ফেলে আসা শৈষবে ।
তালের পাখায় বাতাস খাবি,
জলার ধারে শুভ্র বকেরা কেমন মাছ ধরে খায় দেখবি,
বাঁশির সুরে রাখাল ছেলেরা কেমন বহুদুর পর্যন্ত সুরের খেলা খেলে,
খেজুরের রস খাবি ভোরের রোদে,
কুয়াশা ভেজা মাঠে খালি পায়ে হাটবি,
মজা পুকুরে শাপলা তুলবি আর
দেখবি গরুর গাড়ী ছাপা শাড়িতে ঢেকে কেমন করে
নায়ৈর যায় গায়ের বধুরা?
তোর যান্ত্রিক জানালা আর স্কুলের বইয়ে
এর কথা যে কিছু নেই,
বাবা একটি বার চল আমার সাথে
দেখে আসবি,
মানুষেরা কেমন অল্পতে সুখী ,
কেমন করে হাসে, ভালোবাসে...............।

শনিবার, ৭ মে, ২০১১

মধ্যবয়েসের স্মৃতিচারন

তখন সন্ধ্যে ছিলো .........
একে একে জলে উঠছিলো শহর জোড়া বাতিগুলো ।
নদীর ধারে বসে শেষবারের মতো
আমার আঙ্গুল তোমার আঙ্গুলে
জড়াজড়ি করেছিলো ।
বড় বিষন্ন ছিলো সে সন্ধ্যে .........
সেই বিকেল থেকে আমি আর তুমি
বসেছিলেম পাশাপাশি ,
কোন কথা ছিলোনা ।
নির্বাক চোখে তাকিয়ে ছিলেম
দুজনে দুজনের ক্রন্দসী চোখে ।
পরিচয়ের সেই দশটি বছরে
এই প্রথমবার এবং শেষবারের মত
আমাদের মাঝে কোন কথা হয়নি ,
তারপর আর দেখাও হয়নি।
জানো আমরা দুজনে সেদিন জানতেম
এই শেষ দেখা,
গলার কাছে কষ্টরা এসে দলা পাকিয়ে
কথা বন্ধ করে দিয়েছিলো,
হয়তো তোমারো ঠিক তাই।
তুমি হিন্দুর মেয়ে অরুনিমা,
আমি মুসলমানের ছেলে মাইদুল
বলে তাই সব ভেস্তে গেলো,
ভালোবাসা ধর্মের তোড়ে ভেসে গেলো।
পরদিন সকালে তোমরা সবাই
ভারতবাসি হলে,
আমরা রয়ে গেলাম
পাকিস্তানের বুলি ধরে।
দেশ ভাংলো
সাথে ভেঙ্গে নিলো তোমায় আমায়।
কেমন আছো তুমি জানিনে...
আমি বেচে আছি,
মাথায় তেল দিয়ে
সিথি কেটে রোজ সাইকেল চেপে
ইস্কুলে পড়াতে যাই,
ধর্ম কর্ম করি,
নিজে রান্না করি, খাই দাই ঘুমাই।
এ জীবনে আর কাউকে জড়াইনি অরুনিমা,
যা ছিলো আকর্ষন, যা ছিলো ভালোবাসা,
সেত কবেই তোমার সাথে চলে গেছে।
প্রতিদিন তোমাদের পুরোন বাড়ীটার পাশ দিয়ে গেলে
থমকে দাড়াই,
মনে হয় এক্ষুনি তুমি এসে দাঁড়াবে বুড়ো আমগাছটার নিচে
ছাপা শাড়ী পরে,
যেমন দাড়াতে যখন আমি কলেজ যেতাম,
তারপরেই ভুল ভেঙ্গে যায়,
ওবাড়ীতে আজ কি যেন একটা সরকারী দপ্তর হয়েছে।
সেদিন সন্ধ্যায় এতো বাতাস ছিলো,
নদীর ধারে বাতাসের শব্দে সব কান্না হারিয়ে গিয়েছিলো,
একসময় আকাশে তারারা এসেছিলো,
তুমি হাত ছাড়িয়ে ধিরে ধিরে হেটে হেটে অন্ধকারে মিলিয়ে গিয়েছিলে,
সাথে আমার সব স্বপ্নও মিলিয়ে গিয়েছিলো আকাশে,
জানো অরুনিমা সেদিন রাতে কতক্ষন
নদীর ধারে বসেছিলাম নিজেও জানিনা,
অদ্ভুত হাহাকারে
একা একা অনেক ক্ষন কেদেছিলেম,
বাড়ী গিয়ে তুমিও হয়তো তাই।
আজ এই মধ্যবয়সে
তোমায় নিয়ে ভেবেই দিন কাটে আমার,
তুমি ভালো আছত অরুনিমা?
চোখে কি চশমা নিয়েছো?
তোমার ছেলে মেয়েরা কি বড় হয়েছে?
নাতি পুতিতে তোমার ঘর কি ভরে আছে?
যেখানেই থাকো ভালো থেক অরুনিমা......।

অনি
১৯/৪/২০১১

একই জীবনের কথকথা

By Wasiquzzaman Oni · Sunday, April 24, 2011
আমাদের পাথর সময়
বন্ধুর পথে ছুটে চলা ,
বাসে বা ট্রেনে বিষন্ন মুখ ,
কায় ক্লেশে জীবনটা টেনে যাওয়া।
বুকে হেটে,
খেটে খুঁটে ,
ফিরে যাওয়া প্রতিদিন
একই ঠিকানায় ।
সুখের ঘর বাধা
অলীক কল্পনায় ।
কত চাওয়া এই জীবনের ?
আশার সীমানা কোথায় ?
প্রতিদিন একই রকম ,
জীবন জীবনে হারায় ।
দিন শুরু আলুভাজী রুটি ,
বাসে ট্রেনে বাদুর ঝোলা ,
সারাদিন কলমপেষা ,
বেঁচে থাকার ছলা কলা ।
যখন সন্ধ্যে ঘনায় ...

কষ্টগুলো আমারই থাক

By Wasiquzzaman Oni · Tuesday, May 3, 2011
যেদিন তুমি ফিরিয়ে দিলে
ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছেতে,
হন্যে হয়ে সারাটি দিন
ঘুরছি কেবল মনের ভুলে,
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট বোধে
যাচ্ছি হয়ে বাউন্ডুলে।।
সুখগুলো সব রাখলে তুমি
যত্ন করে আগল দিয়ে,
আমার রইল দূঃখের নদী
নিরবধি যাচ্ছে বয়ে।।
ভালোবাসার লিখছি চিঠি
যত্ন করে রঙ্গীন খামে,
বুঝতে পেরে মধ্যরাতে
ইলশেগুড়ী বৃষ্টি নামে।।
পারবে চিঠি ফিরিয়ে দিতে
ভালোবাসার পুরোন দিন?
ভাবনাগুলো খাচ্ছে কুরে...

মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১১

কষ্টগুলো আমারই থাক


যেদিন তুমি ফিরিয়ে দিলে
ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছেতে,
হন্যে হয়ে সারাটি দিন
ঘুরছি কেবল মনের ভুলে,
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট বোধে
যাচ্ছি হয়ে বাউন্ডুলে।।
সুখগুলো সব রাখলে তুমি
যত্ন করে আগল দিয়ে,
আমার রইল দূঃখের নদী
নিরবধি যাচ্ছে বয়ে।।
ভালোবাসার লিখছি চিঠি
যত্ন করে রঙ্গীন খামে,
বুঝতে পেরে মধ্যরাতে
ইলশেগুড়ী বৃষ্টি নামে।।
পারবে চিঠি ফিরিয়ে দিতে
ভালোবাসার পুরোন দিন?
ভাবনাগুলো খাচ্ছে কুরে
বারছে দহন অন্তবিহীন।।
আগোছালো জীবন আমার
কাটছে শত গন্ডগোলে ,
হয়তো তুমি সুখেই আছো
ঘরকন্নার হট্টগোলে।
তোমার ঘরে সুখের নহর
পড়ুক ঝরে প্রতিটিদিন,
দুঃক্ষের নদী আমারই থাক
চলুক বয়ে অন্তবিহীন।।

অনি
৩/৫/২০১১

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১১

ক্রন্দসি পাহাড়ের কান্না কি শুনতে পাও?


এক টুকরো ছোট্ট জমি ,
আমার আকশ ছোয়া পাহাড় ,
মিতালী করতো আকাশের সাথে ,
মেঘে করতো স্নান ,
সবুজ উদ্ভিদ আপন মনে গান গাইতো ।
সেই পাহাড় কে ভাগ করলে তুমি ।
কত কি নিয়েছো, পাহাড়টা ছাড়বেই বা কেন ?
তাই পাহাড়ে ছড়িয়ে দিলে বিষ ।
ক্রন্দসি পাহাড়ের কান্না কি শুনতে পাও?
পাহাড়ি ঝর্না আজ রক্ত নিয়ে বয়ে চলে ।
আতঙ্ক উড়িয়ে দিয়েছি বিশ্বাষ এক নিমিষেই
তাই যে মং প্রু আর আজিজুল দোকান করতো একসাথে
তারাই আজ খড়গ হাতে ধাওয়া করে একে অন্যকে।
আমাড় পাহাড়কে নরক বানালে তুমি ,
বেশ করেছো স্বর্গ যত কমে ততি তোমার ভালো ।

অনি
২১/৪/২০১১

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১১

এক পিতা চলেছেন তার ডিঙ্গি নিয়ে মাছ ধরতে, সাথে তার ছেলে। গতবছর ভরা বর্ষায় ছাতকের এক হাওরে তুলেছিলাম ছবিটা।

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১১

শিরোনাম

এই জগতে সব কিছুতেই শিরোনাম দিতে হয়, শিরোনাম কোথাও পরিচয়, কোথাও সুত্র আবার কোথাও বা শুধুই একটি নাম। লেখক লিখেন , লিখে মন পছন্দ একটি শিরোনাম দেন। আবার কখোন কেউ বা আসেন খবরের কাগজের শিরোনাম হয়ে। তবে তা শিরোধার্য্য করে সবাই মেনে নেননা, পক্ষে হলে খুশীতে ঝলমল, আর বিপক্ষে গেলে রাগে টলমল। সবই মানব চরিত্র।এখানে প্রথম লিখছি, তাই লেখার প্রাম্ভেই শিরোনাম লেখাটি দেখে কিছু আগডুম বাগডুম লেখার লোভ সম্বরন করতে পারলাম না।

অনি
২৭/৩/১১